শুক্রবার, ১৮ এপ্রিল ২০২৫, ১০:৫৮ অপরাহ্ন
প্রাণঘাতী করোনা ভাইরাস মোকাবিলায় প্রস্তাবিত জনবল কাঠামো (অর্গানোগ্রাম) বাস্তবায়নের দাবি জানিয়েছে বাংলাদেশ উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন অফিসার সমিতি। বুধবার (১৩মে) গণমাধ্যমে পাঠানো সংগঠনের বিলুপ্ত কমিটির সভাপতি সালাউদ্দিন আল ওয়াদুদ স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানা গেছে।
বিজ্ঞপ্তিতে তিনি দাবি করেন, জীবন বাজি রেখে দুস্থ, অসহায় ও কর্মহীনদের মুখে হাসি ফোটাতে ঝুঁকি নিয়ে সম্মুখযোদ্ধা হিসেবে প্রতিনিয়ত কাজ করে যাচ্ছেন পিআইও এবং সংশ্লিশ্ট দপ্তরের প্রকল্পের উপ-সহকারী প্রকৌশলীগন । কিন্তু যুদ্ধের মাঠে তাদের প্রয়োজনমতো সুরক্ষা সরঞ্জাম দেওয়া হয়নি। যথাযথ নিরাপত্তা ছাড়াই প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনা বাস্তবায়নে কাজ করে চলেছেন তারা।
সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, করোনার ভয়ভীতি উপেক্ষা করে অধিদপ্তর থেকে জেলা প্রশাসনের মাধ্যমে বরাদ্দকৃত জিআর চাল, নগদ অর্থ ও শিশু খাদ্য উপজেলা প্রশাসনের দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা বিভাগ বরাবর উপবরাদ্দ প্রদান করা হয়। অতঃপর অপারেশন ম্যানুয়াল অনুসারে ওয়ার্ড কমিটি ও ইউনিয়ন কমিটির মাধ্যমে কর্মজীবী কর্মহীনদের তালিকা প্রস্তুত করে পর্যায়ক্রমে প্রতিটি পরিবারে খাদ্য সহায়তা পৌঁছে দেওয়ার কাজ বাস্তবায়ন করছেন তারা। বিতরণ যেনো সঠিকভাবে হয় এজন্য পিআইওদের সরেজমিনে উপস্থিত হয়ে কার্য সম্পন্ন করতে হয়। উপকারভোগীরা কেউই স্বাস্থ্যবিধি মেনে সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে খাদ্যসামগ্রী গ্রহণ করেন না। করোনাসহ যে কোন দুর্যোগ মোকাবেলায় দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয় অধিদপ্তরের অধীনে উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তার ভূমিকা অপরিসীম।মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বিশেষ নগদ অথ’ সহায়তা প্রকল্পে দিন রাত এক করে জীবন বাজি রেখে কাজ করে যাচ্ছেন পি আই ও এবং সংশ্লিষ্ট দপ্তরের প্রকল্পের উপ-সহকারী প্রকৌশলীগন । জীবনের ভয়কে তুচ্ছ করে সরকারী সকল ত্রান কাজ করে যাচেছন তারা ।
জানতে চাইলে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বাঞ্ছারামপুর উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা পবিত্র চন্দ্র মন্ডল বলেন, ‘প্রস্তাবিত অর্গানোগ্রামটি বাস্তবায়ন হলে জনবল সংকট কাটিয়ে এ মন্ত্রণালয়ের প্রতিটি জনবান্ধব কাজ আরো স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতার সঙ্গে সম্পূর্ণ করা সহজ হবে। কারণ এই মন্ত্রণালয় যে সমস্ত কাজ তার সবগুলোই সামাজিক নিরাপত্তামূলক, সামাজিক উন্নয়নমূলক এবং দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কার্যক্রম। জনবলকাঠামো দ্রুত অনুমোদন হলে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনায় বাংলাদেশ আরো একধাপ এগিয়ে যাবে বলে আমি মনে করি।
সংগঠনটির সাবেক সহ-সভাপতি তপন কুমার ঘোষ জানান, দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা আইন-২০১২ পাশ হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে ত্রাণ ও পুনর্বাসন অধিদপ্তর এবং দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ব্যুরো এক হয়ে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা অধিদপ্তর গঠিত হয়। ওই আইনে এবং প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনা বাস্তবায়নে অতি দ্রুত অর্গানোগ্রাম এ সময় বাস্তবায়নের দাবি জানানো হয়।
তিনি আরো জানান, ইতিমধ্যে জেলা ত্রাণ ও পুনর্বাসন কর্মকর্তার কার্যালয়ের একজন কর্মচারী করোনায় আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন। একজন জেলা ত্রাণ ও পুনর্বাসন কর্মকর্তাসহ একাধিক উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত। তাই করোনা মোকাবিলায় অতিদ্রুত জনবলকাঠামো বাস্তবায়ন চান তিনিও। বিজ্ঞপ্তি।